প্রতিপক্ষের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বাগেরহাটে দুর্বৃত্তের গুলিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুইয়া (৩৯) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তানু ভূঁইয়া বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় এলাকায় দুর্বৃত্তরা তানু ভূঁইয়ার ওপর গুলি চালিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে তানু ভূঁইয়ার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহত ব্যক্তির শরীরে কয়টি গুলি রয়েছে, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, তানু ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।

নুরে আলম তানু ভূঁইয়া বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভুইয়ার ছেলে। তিনি বাগেরহাট জেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দল বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ভূইয়া তানুকে বহিষ্কার করা হয়।

একই এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদের গুলিতে তানু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তানুর বড় ভাই আবুল কাশেম সেলিম ভুইয়া বলেন, ‘আমার ভাইকে ওরা গুলি করে মেরে ফেলেছে।’

নুরে আলম তানু ভুইয়ার বোন লোপা বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বগা ক্লিনিকের দিকে যায় আমার ভাই তানু। কিছুক্ষণ পরেই পরপর চারটা গুলির শব্দ পাই। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ‘তানু ভূঁইয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রাখে। তাই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’

অভিযুক্ত ফরিদকে ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ফরিদের নামে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *