ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ববি চার্লটনের মৃত্যু

:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার স্যার ববি চার্লটন মারা গেছেন। তিনি তিন বছর ধরে ভুগছিলেন স্মৃতিভ্রংশ রোগে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

পরিবারের তরফ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে , ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, শনিবার সকালে স্যার ববি মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁর পাশে ছিলেন। যারা তাঁর এগিয়ে চলার পথে যত্ন নিয়েছেন, সমর্থন ও ভালোবাসা দিয়েছেন তাঁদের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।’।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকেও চার্লটনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘স্যার ববি শুধু ম্যানচেস্টার বা ইউনাইটেড কিংডমে নয়। বিশ্বজুড়ে যেখানেই ফুটবল খেলা হয় সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে হিরো ছিলেন। একজন ফুটবলার হিসাবে তার অসামান্য গুণাবলির জন্য যেমন তিনি ছিলেন তার খেলাধুলা এবং সততার জন্যও প্রশংসিত ছিলেন। স্যার ববিকে সর্বদা খেলার একজন কিংবদন্তি হিসাবে স্মরণ করা হবে।’

https://www.youtube.com/watch?v=waaM9QNA6ag

স্যার ববি চার্লটন হলেন সেই ফুটবলার যিনি বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মানুষ। ১৯৫৮ সালে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ক্লাবের আটজন ফুটবলারের মৃত্যু হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মিউনিখগামী এই বিমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টিম, সাপোর্ট স্টাফ, সাংবাদিকরা ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২০ জনের। প্রাণে বেঁচেছিলেন ববি চার্লটন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে রেকর্ড ৭৫৮ ম্যাচ খেলেছিলেন ববি। পরবর্তীকালে তার রেকর্ড ভাঙেন রায়ান গিগস। ম্যানইউয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও ছিল তার দখলেই। ২৪৯ গোল করেছিলেন তিনি। ওয়েন রুনি এই রেকর্ড ভাঙেন।

তেমনই ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক গোলের তালিকাতেও একটা সময় পর্যন্ত শীর্ষে ছিলেন ববি চার্লটন। ২০১৫ সালে ওয়েন রুনি তাকে ছাপিয়ে যান।

১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সবকটি ম্যাচেই খেলেন চার্লটন। সব মিলিয়ে তিনটি গোল। এর মধ্যে সেমিফাইনালে পর্তুগালের হয়ে জোড়া গোল। ১৯৬২, ১৯৭০ বিশ্বকাপেও খেলেছেন।

ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন চার্লটন। জাতীয় দলের জার্সিতে এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের গোল সংখ্যা ১০৬ ম্যাচে ৪৯টি। ক্লাব ফুটবলেও দারুণ সফল ছিলেন তিনি। পাস এবং দূরপাল্লার শটের কারণে বিখ্যাত ছিলেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *