৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।

আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি দেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী।

আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের জারি করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সেনা সদস্যরা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

চিঠিতে বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ বিবেচনা করে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি দেশের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা হবে।

প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক স্থানে সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। জেলা/উপজেলা/পুলিশ স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা নিশ্চিত করে এবং রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব স্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একটি সমন্বয় সেল কার্যক্রম শুরু করবে। বাহিনী বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় সেল স্থাপন ও পরিচালনা করবে।

সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।

যেসব সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী

১. সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।

২. রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হবে। 

৩. নির্বাচনী সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।

৪. সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়ে যান বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।

৫. ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে হবে।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দেন।

২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৩৮৯টি উপজেলাজুড়ে ৩০ সদস্য সম্বলিত মোট ৪১৪ সেনা প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া ওই সময়ে ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮টি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *