:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপট দেখিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয়ের স্বাদ পেল দলটি।
৪২.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। লম্বা সময় পর ব্যাটিং ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন উইলিয়ামসন। যদিও তাঁকে আউট করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দলের স্কোর ২০০ হলে স্বেচ্ছায় অবসরে যান কিউই অধিনায়ক।
৬৭ বলে ৮৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন ড্যারিল মিচেল। ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৬টি চারের বাউন্ডারি। গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন মিচেল। ১১ বলে ১৬ রান আসে ফিলিপসের ব্যাট থেকে। এর আগে ডেভন কনওয়ে খেলেছিলেন ৪৫ রানের এক ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রায় সাত মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থেকেও কেন উইলিয়ামসন দেখিয়েছেন বড় মঞ্চে চাপের মধ্যে কীভাবে পারফর্ম করতে হয়। তার নান্দনিক ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি ছিল চোখের তৃপ্তির । উইলিয়ামসন ক্রিজে আসেন তৃতীয় ওভারে। তখন ফর্মে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে ৯ রানেই ফিরিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজ। সঙ্গে করছেন আগুনে বোলিং। আরো কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারলেই ভীষণ চাপে পড়ে যাবে কিউইরা। সেই পরিস্থিতিতে জাত চেনান উইলিয়াসন। ডেভন কনওয়েকে নিয়ে গড়ে তোলেন ৮০ রানের জুটি। তাতে বিপদ সামলে ওঠে নিউজিল্যান্ড। সাকিবের ঘূর্ণিতে ৪৫ রান করা কনওয়ে কাটা পড়ার পর ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে ১০৮ রানের আরেকটি জুটি বাধেন কিউই অধিনায়ক।
৬৭ বলে ৮৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন ড্যারিল মিচেল। ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৬টি চারের বাউন্ডারি। গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন মিচেল। ১১ বলে ১৬ রান আসে ফিলিপসের ব্যাট থেকে। এর আগে ডেভন কনওয়ে খেলেছিলেন ৪৫ রানের এক ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রান করে ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন লিটন। এই ম্যাচেও তার ব্যাটের উপরে ভরসা করে ছিলেন বাংলার সব সমর্থক। তবে সেই আশায় গুড়ে বালি। ম্যাচের প্রথম বল থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। ট্রেন্ট বোল্টের করা ডেলিভারিটি ছিল পায়ের ওপর। ক্রিজ ছেড়ে কয়েক পা এগিয়ে ফ্লিক করেন লিটন। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান ম্যাট হেনরি। গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন।
প্রথম বলেই লিটনকে হারানোর পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধে গড়ার চেষ্টা করেন তানজিদকে নিয়ে। গড়ে তোলেন ৪০ রানের জুটি। কিন্তু লোকি ফার্গুসনের বলে ধরাশায়ী হন তানজিদ তামিম। ১৭ বলে ১৬ রান করে আবারও ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন তামিম। বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে তার রানের পরিসংখ্যান ৫, ১, ১৬।
প্রতিরোধ গড়ে তুলেও বেশি সময় টিকে থাকতে পারলেন না মিরাজ। লোকি ফার্গুসনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। মিরাজ আউট হন ৪৬ বলে ৩০ রান করে। মিরাজের উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলানোর আগেই সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। তিন বলের ব্যবধানে ৫৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
মাত্র ৮ বল ক্রিজে ছিলেন শান্ত। তাতে মন খুলে ব্যাটিং করতে পারলেন কই। চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। তাদের ৯৬ রানের জুটিতে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছিল ড্রেসিং রুমে। কিন্তু ৩০তম ওভারের পঞ্চম বলে ঘটে অঘটন।
সাকিব আগের বলটিতে ছক্কা মারেন। পরের বলেই আউট। লোকি ফার্গুসনের তৃতীয় শিকার হয়ে ৪০ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিব ফেরার কিছু সময় পরে ম্যাট হেনরির স্লোয়ারে বোকা বনে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। তার ৬৬ রানের ইনিংসটিতে বাংলাদেশ আশা দেখছিল। ৭৫ বলের এই ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান মুশফিক।
এরপর হৃদয়কে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর তাসকিনকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাসকিন ফিরে যান দলীয় ২১৪ রানে। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আড়াইশ’র কাছে নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২ চার ও ২ ছয়ে তার অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসে কিউইদের সামনে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।