৯৬৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৯৬৭৩৬টি পদে শূণ্য পদে পদভিত্তিক তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টায় প্রকাশ করা হবে। ওই দিন থেকেই আগ্রহী নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালের ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।

স্কুল অ্যান্ড‌ কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

গণবিজ্ঞপ্তি  অনুযায়ী, স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ ছাড়া মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ। প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পারবেন।

এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়। ১৮ মার্চ এ তথ্য সংগ্রহ শেষ হয়। পরবর্তীতে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সময় বেঁধে দেয় এনটিআরসিএ। ২৫ মার্চ সেই তথ্য সংশোধনের সময়সীমা শেষ হয়।

২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর চারটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১২ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এনটিআরসিএ। এতে শূন্য পদ ছিল ৬৮ হাজার ৩৯০ টি। এগুলো ছিল এমপিওভুক্ত। গত বছরের ১২ মার্চ ওই গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৩২ হাজার ৪৩৮ প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন, বয়স বিবেচনা ও সনদ যাচাই শেষে ২০ সেপ্টেম্বর ২৭ হাজার ৭৪ প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। তাঁদের মধ্যে স্কুল ও কলেজে ১৩ হাজার ৭০৫ জন, মাদ্রাসায় ১১ হাজার ২৭৯, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫১৬, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩, সংযুক্ত মাদ্রাসায় ৬২১ জন সুপারিশ পেয়েছিলেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *