■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টাকালে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টার দিকে এই আহতের ঘটনা ঘটে।
তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন- শ্যামপুর বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বিশাল (২৪), কুমিল্লা ভিক্টরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ খান (২০), বার্তা ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ (২৫), ভিডিও জার্নালিস্ট রিপন রেজা (২৮) ও হকার শফিকুল ইসলাম (৪৫)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বঙ্গভবনের সামনে থেকে আহত অবস্থায় তিনজন এসেছেন। এদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
আহত সাংবাদিক রাজু আহমেদ জানান, বঙ্গভবনের সামনের সড়কে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছিল। রাতে বিক্ষোভের সময় ছাত্র-জনতা ব্যারিকেড ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করে। এসময় কে বা কারা সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এতে তার কানে সমস্যা হয়।
আহত শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একজন হকার। বিকাল থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে ছিলেন। বিস্ফোরণে তার পায়ে আঘাত লাগে।
গুলিবিদ্ধ ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করি। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধার মুখে পড়ি। ওখানে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ ছররা গুলি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় কয়েকটি গুলি এসে আমার পায়ের গোড়ালিতে ও কোমরের নিচে লাগে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাহলে আমরা কেন দেশ স্বাধীন করলাম? পুলিশ আমাদের বন্ধু কিন্তু তারা আমাদের ওপর কেন গুলি চালাল?
গুলিবিদ্ধ অপর ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে আমরা বঙ্গভবনের সামনে এসেছিলাম। আমি ব্যবসা করি। এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ডান পায়ে গুলি লাগে।
আহত আরিফ পড়েন সিদ্ধেশ্বরী কলেজে। তিনি বলেন, আমরা বঙ্গভবনের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করছিলাম। ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালায়। এ সময় আমার পায়ের ওপর একটি সাউন্ড গ্রেনেড এসে পড়ে। এতে আমি আহত হই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বঙ্গভবনের সামনে থেকে আহত অবস্থায় তিনজন এসেছেন। এদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
কর্মসূচি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বাহার উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন, সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদ থাকুক।’
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চ নামের ব্যানারে আরেকটি সংগঠনের অর্ধশত লোকজন বঙ্গভবনের সামনে হাজির হয়ে বলে, বর্তমান রাষ্ট্রপতি যেন দ্রুত পদত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বাসভবন বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনরতরা হঠাৎ করেই নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আসা বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। এরপর ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আনা হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
সম্প্রতি মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে- নেপথ্যের গল্পতে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, ‘রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে সমালোচনার পর অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে গত সোমবার বঙ্গভবনের পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪-এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্টের আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার নেওয়া মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীও বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন অসত্য কথা বলেননি।
গত সোমবার ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আসল ঘটনাটা কী সেটা জানার চেষ্টা করেছি আমি, অনেক দিন। তারপর প্রেসিডেন্ট (রাষ্ট্রপতি) সাহেবের সাথে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট সাহেব যা সত্য তাই বলেছেন। এখানে ষড়যন্ত্রেরও কিছু নেই আর প্রেসিডেন্ট অসত্য কথা বলেছেন বলেও তো আমার মনে হয় না। তিনি তো পরিষ্কার বলেছেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। ওই রিপোর্টেও কিন্তু তিনি নিজেই বলেছেন, এটা মীমাংসা হয়ে গেছে। সেটাও ছাপা হয়েছে।’
পদত্যাগপত্রের ইস্যু অন্তর্বর্তী সরকারই মীমাংসা করতে পারে জানিয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘যারা সরকারে আছেন তারাই তো এটার মীমাংসা করতে পারেন। তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কাছে যদি দালিলিক প্রমাণ থাকে, তাহলে তারা সেটা সামনে আনতে পারেন। আমার ফাইন্ডিংস হচ্ছে দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা আমাকে বলেছেন, তার কাছে যায়নি (পদত্যাগপত্র)। কিন্তু উনি তো এটা বলেননি যে পদত্যাগ অবৈধ, এটা ঠিক না। বঙ্গভবন থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। উনি যথার্থই বলেছেন।’
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি যখন জোরদার হয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান বিচাপতির দপ্তরে এ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, প্রায় ৪০ মিনিটের মতো প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে কে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান বিচারপতি আইজিপি, র্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রপতিকে এখন সরানো কীভাবে সম্ভব
সংবিধানে রাষ্ট্রপতি অভিশংসন বা পদত্যাগের বিধান রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুটি উপায়েই জটিলতা আছে।
সংবিধানের ৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু ৬ আগস্ট সংসদ বিলুপ্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সুতরাং সেখানে বাধা আছে।
অন্যদিকে সংবিধানের ৫৩ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি চাইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। তা গ্রহণের পরে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার।
কিন্তু গত ২ সেপ্টেম্বর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও পদত্যাগ করেছেন এবং ডেপুটি স্পিকারও কারাগারে থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অপসারণ সংবিধান অনুযায়ী হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক।
এক সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে সংসদ। কিন্তু সেটি বাতিল করা হয়েছে। আবার তার পদত্যাগেরও সুযোগ নেই। সে কারণে সংবিধান ও আইনগতভাবে তাকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়।’
তবে স্বৈরাচারী সরকারের বিদায়ের পর যে রাষ্ট্রপরিচালনা করা হচ্ছে, তাতে ‘নিয়ম বা সংবিধানের প্রশ্ন অবান্তর’ হয়ে পড়েছে বলে তিনি মনে করেন। সেক্ষেত্রে সরকার চাইলে ‘জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে’ তাকে সরানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
শাহদীন মালিক বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন না কিংবা বিদায়ী সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেককেই সরে যেতে বলেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রেও তা হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। সেই প্রসঙ্গে ইঙ্গিত করে এই মত দেন শাহদীন মালিক।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন পরিস্থিতিকে ততটা সহজ মনে করেন না। তাঁর মতে, গণঅভ্যুত্থানের পর সবকিছুই বাতিল করা যেত। কিন্তু তা না করে কোনটি বাদ দেয়া হয়েছে, কোনটি রাখা হয়েছে বলেই জটিলতা।
তিনি বলছেন, ‘সংবিধান স্থগিত করা হয়নি। আবার সেটি পুরোপুরি অনুসরণও করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে লিগ্যাল অ্যানার্কি বা আইনি নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। এর ফলে হয়তো অনেক কিছুই করতে হচ্ছে, যা নিয়ম মেনে হবে না।’
তার মতে, সরকার তাঁকে সংসদ ছাড়া অভিশংসন করলে বা বাদ দিলে এখন কেউ কিছু বলবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে কথা উঠবে।