■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গত দুইদিনে প্রায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৪৭ জন। এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯ জানুয়ারি হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে মঙ্গলবার ভোররাতে হামলা শুরু হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৮৩ জনই শিশু। যদিও এটি হামলার পর প্রথমদিনের হিসাব।
ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর। এই ঘটনায় আরও ৫ জনের গুরুতর আহতের খবর জানানো হয়েছে। গাজায় জাতিসংঘের ভবনে এই হামলা করা হয়। যদিও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এমন হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
আল-আকসা হাসপাতালের ফুটেজে দেখা গেছে, দু’জন পুরুষের পায়ে আঘাত লেগেছে এবং তৃতীয় একজনের উভয় বাহুতে এবং পেটে ব্যান্ডেজ ও বুকে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। একজনের পরনে ছিল জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস ‘UNMAS’-এর টি-শার্ট।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পেয়েই মূলত হামাসের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী কেবল হামাস যোদ্ধাদেরই লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। এরই মধ্যে গাজার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
নেতানিয়াহু মঙ্গলবার রাতে বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে যুদ্ধ আবার শুরু করেছে তাঁর দেশ। এক ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরুর প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, ‘এটা কেবল শুরু।’ আর হামাসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার মধ্যেই তা চলবে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা। গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে হাজারো ইসরায়েলির বিক্ষোভ করেছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সৌদি আরব।