:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিলেন মোট ৯ হাজার ৯৭০ জন। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডর আলিম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৯৮৮ জন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী- প্রথম দিনে সিলেট বোর্ড বাদে বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১ হাজার ৪৭২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা প্রথমপত্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। বাকি ৯ হাজার ৯৭০ জন অনুপস্থিত ছিলেন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
বন্যার কারণে চলতি বছর সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরও বন্যার কারণে চট্টগ্রাম বোর্ডে পরীক্ষা স্থগিত ছিল। গত বছরও এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে ৫ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী অনুস্থিত ছিল।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র।
প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন শিক্ষার্থী বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৫০৮ জন, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৫৬ জন, যশোরে ১ হাজার ৩২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭৫ জন, বরিশালে ৭২৭ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ১৩ জন, ময়মনসিংহে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৮ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৯৬৭ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৯৮৮ জন।
এক প্রশ্নের জবাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার অনুপস্থিতি কিছুটা বেশি। সেক্ষেত্রে প্রতিকূল আবহাওয়া একটি কারণ হতে পারে। আবার এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কিছু বেশি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ায় একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে আসলে, তাকে সময় সমন্বয় করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসবেন।’
অন্যদিকে ৮টি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সারা দেশে ২০ জন পরীক্ষার্থী ও একজন কক্ষ পরিদর্শককে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ বছর সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।