:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়নি।
শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানার আর্চওয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে।’
শরীরে এর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দিলে ১৬২৬৩, ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার উপপরিচালক দাউদ আদনান বলেন, ‘এমপক্স সংক্রমণ যাতে দেশে না ছড়ায়, এ জন্য আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিমানবন্দর, নৌপথ ও অন্যান্য প্রবেশপথে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে।’
ভাইরাসবাহিত রোগটির বিস্তার রোধে সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরে দাউদ আদনান বলেন, ‘কেউ যাতে এমপক্স নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার উপপরিচালক দাউদ আদনান বলেন, ‘এমপক্স সংক্রমণ যাতে দেশে না ছড়ায়, এ জন্য আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিমানবন্দর, নৌপথ ও অন্যান্য প্রবেশপথে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হবে।’
ভাইরাসবাহিত রোগটির বিস্তার রোধে সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরে দাউদ আদনান বলেন, ‘কেউ যাতে এমপক্স নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া। গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করেছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেছেন, আফ্রিকা এবং তার বাইরে মাঙ্কিপক্স আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘খুব উদ্বেগজনক’। এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এমপক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। গত ১৪ আগস্ট ডব্লিউএইচও এই ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স একপ্রকার সংক্রামক রোগ। এর উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লুর মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারেন।
মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
চলতি বছরের শুরুতে বিজ্ঞানীরা এমপক্সের একটি রূপের সন্ধান পেয়েছিলেন বলে কথিত। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে এই সংক্রামক রোগ হয়। এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। এমপক্সের নতুন রূপের উপসর্গ ২০২২ সালের প্রাদুর্ভাবের চেয়ে হালকা ও মৃদু।
ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা এমপক্সের বিস্তার রোধে সহায়তা করার জন্য জরুরি অবস্থার জন্য ব্যবহৃত তাদের ‘কন্টিনজেন্সি ফান্ড’ থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিয়েছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে, আগামী দিনে আরও অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞরা এমপক্সের দুটি টিকার সুপারিশ করেছেন, তবে আর্থিক বাধা ও সরবরাহের সীমাবদ্ধতা এখনও একটা সমস্যা।