■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, ১ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নামাজে জানাযা শেষে শাহজাহানপুর কবর স্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
রুহুল আমিন গাজী কিডনী সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দীর্ঘ কারাবাসে তার নানা শারিরীক জটিলতা দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও ছিল তার।
প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন গাজীকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন গুণী সাংবাদিককে হারাল। তার চলে যাওয়া গণমাধ্যমের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন রুহুল আমিন গাজী। মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন কাদের গনি চৌধুরী।
রুহুল আমিন গাজী ১৯৫৬ সালের ১২ নভেম্বর চাঁদপুর সদরের গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৌলভী কফিল উদ্দিন এবং মা আয়েশা খাতুন। সাংবাদিকদের র্শীষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) চতুর্থবারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজের মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি সাংবাদিক সমাজের দাবি আদায়ে বলিষ্ট কণ্ঠস্বর ওয়েজ বোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।