যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।

ট্রাম্প জয়ের পাশাপাশি তিনি ভেঙেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৩২ বছরের রেকর্ড।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে পরাজয়ের পর জয় পেয়েছেন একজনই, তিনি গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ১৮৮৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৮৮৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসনের কাছে হেরে যান ক্লিভল্যান্ড। পরে ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে অংশ নেন। হ্যারিসনকে হারিয়ে আবারও হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় বসেন ক্লিভল্যান্ড। আমেরিকার ২২তম ও ২৪তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।

এই নজির অনুসরণ করে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পও দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলেন। এর ফলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম ও ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

এ ছাড়াও বাইডেনের পর তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৮ বছর। এর আগে বাইডেন দায়িত্ব নিয়েছিলেন ৭৭ বছর বয়সে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০১৬ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ট্রাম্প। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন ২০২০ সালে তিনি বাইডেনের কাছে পুনরায় নির্বাচনে হেরে যান। মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন পর ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

দোদুল্যমান রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়ায় দুর্দান্ত জয়ের পর ট্রাম্প ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সীমা অতিক্রম করেছেন।

এ জয়কে রাজনৈতিক বিজয় ঘোষণা করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি যুগে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে ফ্লোরিডায় নিজের প্রচারাভিযানের সদরদপ্তরে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্ত্রী মেলানিয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্সদের সামনেই সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রতিটি মুহূর্ত আমি আপনারদের জন্য লড়ে যাব।’ তিনি জানান, জনগণ এই দিনটি আবার ফিরে দেখবে। নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করবেন।

সর্বশেষ দোদুল্যমান উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন  ট্রাম্প। উইসকনসিনে ১০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এ জয়ের ফলে ট্রাম্প জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে গেছেন। ট্রাম্পের ঝুলিতে এখন পর্যন্ত ২৭৫টি ইলেকটোরাল ভোট জমা পড়েছে। কমলার ঝুলিতে জমেছে ২২২টি ইলেকটোরাল ভোট।

ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্যে বলেন, ‘আমেরিকার জনগণের জন্য এটি চমৎকার জয়। এটা আমাদের আমেরিকাকে আবারও মহান করার সুযোগ দেবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পেছনে তাঁর যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। এমন এক সময় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যের গাজা ও লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইউক্রেন লড়ছে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। মাঝে মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে হামলা পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটছে, যা চোখরাঙানি দিচ্ছে সর্বগ্রাসী যুদ্ধের। এ অবস্থায় মার্কিন ভোটাররা যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনার পক্ষ নিয়েছেন। তারা ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন, যেন তিনি থামিয়ে দেন সব যুদ্ধ। 

শুধু মার্কিনিরাই নন, বিশ্বের বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রত্যাশা– যুদ্ধ যেন বন্ধ হয়। ট্রাম্প কি এই প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন– এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে নির্বাচনের ফলাফল আসার পরপরই ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন তাঁর অবস্থান। গতকাল বুধবার বিজয়ীর ভাষণে তিনি আবারও যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেন। 

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না; যুদ্ধ থামাতে যাচ্ছি।’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন মধ্যপ্রাচ্যেও নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও লোকজনকে জিম্মি করার পর গাজায় চালানো হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। সম্প্রতি লেবাননেও হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের দাবি ওঠে। 

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কমলা হ্যারিসের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্যে লড়াই বন্ধে ট্রাম্প বেশি কার্যকর ভূমিকায় যেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এপির সাবেক আঞ্চলিক সম্পাদক ড্যান প্যারি বলেন, ইসরায়েলে একটা বিষয় প্রচলিত আছে যে, তারা যা কিছু করবে, সেটাকেই সমর্থন দেবেন ট্রাম্প। তবে সেখানে ট্রাম্পের কিছু বিরোধীও আছেন। ইসরায়েলের উদারপন্থিরা মনে করেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে তা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য ভালো, ইসরায়েলের জন্য নয়। তিনি বলেন, ইসরায়েলের একটি অংশ এও মনে করে যে, ট্রাম্প মানবিক বিষয়গুলোতে নজর দেন না। তবে ট্রাম্পের কথা নেতানিয়াহু মানতে পারেন। এ কারণে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা এখন বেশি।

এ নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘ট্রাম্পের জয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জয়। তবে সবকিছুই যে তিনি পাবেন– এমনটা নয়।’ এতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব অনেক বেশি। এটি নেতানিয়াহুর জয়। তিনি ট্রাম্পের জয়ের উল্লাসকে লুকানওনি। বাইডেন প্রশাসন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গেছে। তাদের মধ্যে গাজায় ত্রাণ সহায়তা দেওয়ায় বাধা, জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযান, জিম্মি উদ্ধারে চুক্তির বিরোধিতাসহ নানা ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনেরও সমালোচনা করে আসছে। তারা ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিলেন। ট্রাম্পের আসন্ন সরকার ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের সহায়তাকারী ইউএনআরডব্লিউএকে কোনো ধরনের সমর্থন দেবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে সব কিছুর পর ট্রাম্পের যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের কারণে হামাসের সঙ্গে লড়াই বন্ধ হওয়ার ক্ষীণ আলো দৃশ্যমান রয়েছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধেও প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। বুধবার পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে ইউক্রেনের মানুষের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ যুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের বড় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছিল দেশটি। ট্রাম্প সহায়তা বন্ধ করে দেবেন বলে বারবার বলে আসছেন। এতে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন টিকে থাকতে পারবে কি না– সে প্রশ্ন সামনে আসছে। সম্প্রতি রাশিয়ার পক্ষে  ইউক্রেনের মাটিতে লড়ছে শত শত উত্তর কোরিয়ার সেনা।

ট্রাম্পের জয়ের আভাস পেয়ে সামাজিক মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর প্রত্যাশা কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক অটুট থাকবে। কিন্তু ইউক্রেন সরকারের এমন আশার পরও এটা পরিষ্কার, ট্রাম্পের বিজয় কিয়েভের জন্য ভারি হবে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৯ মাস ইউক্রেনকে দেওয়া জো বাইডেন প্রশাসনের অনুদান আটকে দিয়েছিল ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। এর জেরে কিয়েভ তাদের যুদ্ধকালীন বাজেট ছোট করতে বাধ্য হয়। 

কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের সভাপতি টিমোফাই মাইলোভানোভ এক ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘আমাদেরকে এখন ট্রাম্পের বিশ্বে বসবাস করতে হবে। আমি সন্দিহান যে, আসন্ন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ শেষ হতে যাচ্ছে; যদিও তিনি অঙ্গীকার করেছেন। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে এতে বিরক্ত হবো না।’ ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি সব সময় দাবি করে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। তারা জেলেনস্কিকে ‘ইতিহাস সেরা বিক্রয়কর্মী’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে।

ট্রাম্পকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ‘ইতিহাসের সেরা প্রত্যাবর্তনের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্মান ও উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে গত চার বছর ধরে একসঙ্গে (ট্রাম্পের সঙ্গে) কাজ করে আসছেন তিনি। আরও শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সেভাবেই একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন,‘নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন। আমি আসছে বছরগুলোতে আপনার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। নিকটতম মিত্র হিসেবে, আমরা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও শিল্পোদ্যোগের মতো আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।’

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কিও ট্রাম্পকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে বলেছেন, আমি বৈশ্বিক বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তির’ নীতির প্রতি অঙ্গীকারের প্রশংসা করি।’ 

জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘ঠিক এই নীতিই ইউক্রেনে শান্তি আনতে পারে।’   

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে বলেছেন, ‘আসুন আমরা আমাদের জনগণের উন্নতির, বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করি।’ 

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেছেন, ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে সফলভাবে মোকাবেলায় আমাদের ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও জোরদার করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’

চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা ট্রাম্পতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন,‘আমাদের যৌথ লক্ষ্য হলো প্রশাসনের পরিবর্তন সত্ত্বেও আমাদের দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ স্তরে রাখাকে নিশ্চিত করা। আর আমাদের নাগরিকদের সুবিধার জন্য আমরা এ সম্পর্কের বিকাশ অব্যাহত রাখি।’ 

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ও ইতালির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও  ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *