দুর্গাপূজায় ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বছর মোট ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানি অনুমোদন (ইপি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানির জন্য আবেদন চাওয়া হয়। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আবেদন জমা দিতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৫২৫ টাকা (১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার) দরে রপ্তানি হবে।

এর আগে গত ২৯ জুলাই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বরাবর ইলিশ চেয়ে চিঠি দেয় পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’। চিঠিতে বলা হয়, তারা আগামী সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ আমদানি করতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি ২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ ভারতে শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ অফিস চলাকালে (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা পর্যন্ত) হার্ড কপিতে আবেদন আহ্বান করতে হবে।

আবেদন করার নিয়ম ও শর্তাবলি: 
১. আবেদনের সঙ্গে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র এবং মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

২. প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে যারা আহ্বান ব্যতিরেকে আবেদন করেছেন, তাদেরকেও পুনরায় নতুনভাবে আবেদন করতে হবে।

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। গত বছর রপ্তানির অনুমতি পায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আরেকটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করে। ওই সময় প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছিল ১০ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা।

অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব-কন্ট্রাক্ট) রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। সব সময়ই এসব শর্ত থাকে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *