:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
নিখোঁজের ৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বনানী ঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের বনানীঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারদিন নূর পরশ নারায়ণগঞ্জের দেউলপাড়া কুতুবপুরের নয়ামাটি এলাকার কাজী নুরুদ্দীন রানার ছেলে। তবে তারা বর্তমানে ঢাকার ডেমরার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। পরশ বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পলাশ। পরদিন তার বাবা নূরউদ্দিন রানা রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি জিডি (নম্বর-২৮১) করেন।
সন্তানের খোঁজ চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন নূরউদ্দিন রানা। সেখানে তিনি বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের-১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে শেষবার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দেখা যায়। ওই দিন রাত পৌনে ১১ থেকে ১১টার মধ্যে ফারদিন সেখানে অবস্থান করছিলেন। এরপর তার বুয়েটের হল কিংবা বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে ফেরেনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, বিকেলের দিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখে আমরা নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশকে জানাই। পরে নৌ-পুলিশ নদী থেকে মরদেহ তুলে আইনি ব্যবস্থা নিতে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে ওই মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহত ফারদিন নূর পরশ গত ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এর পর তার বাবা কাজী নুরুদ্দিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।