:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া ৬৭৫ বাংলাদেশির মধ্যে ১৩৫ জনকে সৌদি আরবের সামরিক উড়োজাহাজে করে জেদ্দায় নেওয়া হচ্ছে।
বিকেলে জেদ্দা বিমানবন্দরে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তাদের স্বাগত জানান।
আগামীকাল বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জানিয়েছিলেন, আজ রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ১৩৫ বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের নিয়ে পোর্ট সুদান থেকে উড়োজাহাজটি জেদ্দার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
তারেক আহমেদ জানান, উড়োজাহাজটি জেদ্দার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করবে। সেখানে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করবে সৌদি সরকার। তবে তাদের দেখভাল করবেন জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হকের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তারাও।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশিসহ ওআইসি দেশগুলোর নাগরিকদের সুদান থেকে জেদ্দা সরিয়ে নিতে সহায়তা দিচ্ছে সৌদি আরব। পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে করে তাদের সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও রোববার উড়োজাহাজে করে প্রথমে ৬৮৪ বাংলাদেশির মধ্যে ১৩৫ জনকে জেদ্দা নিল সৌদি সরকার।
এ ছাড়া বাকি বাংলাদেশিদের একসঙ্গে বা পর্যায়ক্রমে জাহাজ বা উড়োজাহাজে করে জেদ্দা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আগামীকাল সোমবার থেকে বিমানের ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানা গেছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে। দিনে দিনে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। সরকারি হিসাবে সুদানে দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি রয়েছেন। পরিস্থিতির ক্রম অবনতি ঘটায় প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
গত ২ মে খার্তুমের বাংলাদেশিরা পোর্ট সুদানের উদ্দেশে রওনা করে এবং ৩ মে তারা সেখানে পৌঁছান। এরপর থেকেই জেদ্দা যাওয়ার অপেক্ষায় তারা। ট্র্যাভেল পারমিট ইস্যু ও জাহাজের শিডিউল পেতে দেরি হওয়ায় তারা জেদ্দায় পৌঁছতে পারছিলেন না।