:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং গুলি তার কান ছিঁড়ে বেরিয়ে গেছে।
ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও আহত করার পর অভিযুক্ত ওই হামলাকারী মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬.১১ মিনিটে পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। এই হামলাকে মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টাকারী বন্দুকধারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট প্রথম ক্রুকসকে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-ও আনুষ্ঠানিকভাবে হামলাকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস বলে জানিয়েছে। ক্রুকস ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার।
পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী এই যুবক সমাবেশের মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ দূরে একটি ভবনের ছাদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে আটটি গুলি ছুড়েন।
সন্দেহভাজন হামলাকারী একটি এআর-স্টাইলের রাইফেল দিয়ে ২০০ ফুট থেকে ৩০০ ফুট দূরত্ব থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে একাধিক আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএসকে বলেছেন।
এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ (স্থানীয় সময় শনিবার) সন্ধ্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাকে আমরা হত্যাচেষ্টাই বলছি।’
ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে তাদের এজেন্টরা কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে রিকো এলমোর নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শনিবারের ওই হামলার পর তিনি ব্যারিকেড টপকে এক ব্যক্তিকে সেবা দিতে থাকেন। হামলার পর ওই ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। পরে যখন তিনি সেখান থেকে সরে আসেন, তখনও তার সাদা শার্টে রক্ত লেগেছিল। রিকো জানান, তিনি ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে চিনতেন না বলেও জানান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র ও একজন পুলিশের কর্মকর্তা জানান, একটি ভবনের ছাদের ওপর থেকে হামলা চালানো হয়। ওই ভবনটি সমাবেশস্থলের ঠিক বাইরে ছিল। সূত্র জানায়, হামলার পরপরই ভবনটিতে ব্যাপক পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতির কথা জানায় সিএনএন। ট্রাম্প যে পজিশনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, সেই অবস্থান থেকে ভবনটি তার ডান দিকে ছিল।
সমাবেশস্থলে সামনের সারিতে বসেছিলেন সিনেটে রিপাবলিকান প্রার্থী ডেভ ম্যাককরমিক। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ওপর তাৎক্ষণিক হামলা’ হতে দেখেছি। তার পেছনে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। এই রাজনীতিবিদ বলেন, ট্রাম্প একটু আগেই আমার নাম ঘোষণা করেন। তিনি আমাকে মঞ্চে ওঠার আহ্বান জানান। এর প্রায় এক মিনিট পর ‘সাত থেকে আটটি’ গুলির শব্দ শুনতে পাই। সিক্রেট সার্ভিস তাৎক্ষণিক ট্রাম্পকে ঘিরে ধরে বলেও জানান তিনি।
জোসেফ মেয়ন নামে একজনের পাশেই এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। তিনি সিএনএনকে জানান, খুবই চমকে ওঠার মতো ঘটনা। অনেকেই ভেবেছিল আতশবাজি হচ্ছে। কিন্তু আমি তখনই বুঝেছিলাম এটা বন্দুকের গুলির শব্দ। মেয়ন পেশায় একজন সার্জন। তিনি জানান, আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করেন তিনি। মেয়নের ভাষায়, মাত্র দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে সাতটি গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিচে লুটিয়ে পড়ে নিজেকে আড়াল করেন। এসময় সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা তার পাশেই ছিলেন। এরপর তাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ করে হাত ওপরে তোলেন এবং ‘লড়াই, লড়াই, লড়াই’ বলে চিৎকার করেন। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, তিনি ভালো আছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য। রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বাটলার শহরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দিতে ওঠার পরই একপর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রশ্নের মুখে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস
গুলিবর্ষণ করার আগে হামলাকারী বা তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানতো না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগ পর্যন্ত এফবিআই অদূরে একটি ভবনের ছাদে থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুই জানতো না। সংবাদ সম্মেলনের সময় এফবিআই নিশ্চিত করেছে, গুলি না চালানো পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশের কাছাকাছি একটি ভবনের ছাদে অবস্থানরত হামলাকারী ব্যক্তি থাকার কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জানতেন না।
হামলাকারী স্নাইপারের অবস্থান সম্পর্কে এফবিআই আগে থেকে কিছু জানতো কিনা, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট কেভিন রোজেক একথা বলেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, গুলি চালানোর কয়েক মিনিট আগে তিনি পাশের একটি ভবনের ছাদে একজন ব্যক্তিকে দেখেছিলেন। তিনি ‘তিন থেকে চার মিনিট’ ধরে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ছাদের ঢালের কারণে তারা সম্ভবত বন্দুকধারীকে দেখতে পাননি।
বিবিসি বলছে, পেনসিলভেনিয়ায় প্রচার সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হওয়া আক্রমণটি আপাত নিরাপত্তার ত্রুটি সামনে এনেছে এবং কেউ কেউ আক্রমণকারীর সেখানে পৌঁছে যাওয়া এবং হামলার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের দিকে আঙুল তুলেছেন।
যদিও হামলার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলছেন এবং কেউ কেউ আবার এটিকে সিক্রেট সার্ভিসের ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করছেন।
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় হাউস সম্পূর্ণ তদন্ত পরিচালনা করবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন হাউস স্পিকার মাইক জনসন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন: ‘আমেরিকান জনগণের সত্য জানার অধিকার রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিম্বার্লি চিটল এবং ডিএইচএস ও এফবিআইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের কমিটির সামনে শুনানির জন্য হাজির হবেন।’
এছাড়া সিক্রেট সার্ভিস হাউস ওভারসাইট কমিটিকে হামলার বিষয়ে ব্রিফ করতে সম্মত হয়েছে বলেও একজন মুখপাত্র দ্য হিলকে নিশ্চিত করেছেন।
সিক্রেট সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজার ববি ম্যাকডোনাল্ড রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) খুব শক্তিশালী নিরাপত্তা পান যা সর্বদা তার সাথে থাকে। কিন্তু তিনি উপলব্ধ বিভিন্ন সম্পদ-সরঞ্জামের সবগুলো পান না। তাই, আমি মনে করি এই ঘটনার কিছু দিক রয়েছে যা তদন্ত করা হবে।’
ববি ম্যাকডোনাল্ড আরও বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস এখন দেখবে আসলে কী ঘটেছে এবং কীভাবে তারা নিজেদের আরও উন্নত করতে পারে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতিগুলোও উন্নত করতে পারে।’
আমেরিকায় এমন সহিংসতার স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। এরপরই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
এটি হত্যার প্রচেষ্টা ছিল বলে তিনি বিশ্বাস করেন কিনা তা বাইডেনের কাছে একজন প্রতিবেদক জানাতে চান। জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে।’
এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে’।
তিনি বলেন, তিনি আজ (শনিবার) রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলার বিষয়ে আশা করছেন। তিনি আরও বলেন, সমাবেশে হামলার সময় যা ঘটেছিল সে সম্পর্কে তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তিনি এখন তার ডাক্তারদের সাথে আছেন।’
মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এটি (এই ধরনের হামলা) ঘটতে দিতে পারি না। আমরা এমনটা হতে পারি না। আমরা এটি ক্ষমাও করতে পারি না।’
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্বনেতাদের নিন্দা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেছেন তিনি।
এক্সে মোদি লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গণতন্ত্র এবং রাজনীতিতে হিংসার কোনো জায়গা নেই। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। হামলার ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের জন্য, যারা আহত হয়েছেন তাদের জন্য এবং সর্বোপরি আমেরিকার মানুষের জন্য আমার সমবেদনা রইল।’
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হত্যার চেষ্টায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। তার দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।’
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের ওপর হামলার খবর শুনলাম।তিনি গুরুতর আহত হননি শুনে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা তার জন্য, তার পরিবারের জন্য এবং সভাস্থলে উপস্থিত যারা এই হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস, সব নিরাপত্তারক্ষী এবং স্থানীয় উদ্ধারকারীদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশে এই ধরনের হিংসার কোনো জায়গা নেই। আমাদের একজোট হয়ে এই হিংসার বিরোধিতা করতে হবে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর কোনও নতুন হিংসা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিখেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রে রাজনৈতিক হিংসার কোনো জায়গা নেই। ঠিক কী ঘটেছে, আমরা এখনও স্পষ্ট করে জানি না। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে গুরুতরভাবে জখম হননি, তা জেনে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। নাগরিক হিসাবে আমাদের রাজনীতিকে আরও সম্মান জানানো উচিত। মিশেল (ওবামার স্ত্রী) এবং আমি ট্রাম্পের দ্রুত সুস্থ কামনা করছি।’
সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের ওপর এই কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা করছি। তিনি সুস্থ আছেন শুনে আমরা আশ্বস্ত। তৎপরতার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের সব কর্মকর্তা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য’।
হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এক্সে তিনি লিখেছেন, ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। আমাদের সমাজে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গুলির ঘটনায় আমি ও আমার স্ত্রী বিস্মিত হয়েছি। আমরা তার নিরাপত্তা ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।