:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইন আবেদনে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তা জানতে পারবেন। একাদশে ভর্তির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফলাফল ও পরবর্তী সব নির্দেশনা জানতে পারবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তা মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভর্তির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী পরর্বতী কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ১৩ জুন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। যা শুরু হয়েছিল গত ২৬ মে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা যায়, প্রথম ধাপে সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চার দিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া।
আরও জানা যায়, ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই (রাত ৮টায়)। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।
এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয়নি। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পেরেছে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করেছে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য ঢাকার নটরডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।
২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এবার গত বছরের চেয়ে এবার ১ হাজার ৪৪৯ জন কম জিপিএ-৫ পেয়েছে।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।
যশোর বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।৩ জন।
এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।