■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
দেশের চার সমুদ্র বন্দরের সতর্কতা সংকেতও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে টানা বা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, রংপুর বিভাগে তিস্তার সঙ্গে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। উজানে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেও নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সে সঙ্গে ভারি বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মোটামুটি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। সামনে যেহেতু বর্ষাকাল, কিছু কিছু জায়গায় থেমে থেমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত হবেই।
সিলেট : ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিমাত্রায় বৃষ্টির ফলে সিলেটে নদ-নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। সুরমা-কুশিয়ারাসহ আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি বেড়ে বিপদসীমার সন্নিকটে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা ডুবে গেছে। গোয়াইনঘাট-রাধানগর উপজেলা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার দুপুর থেকে একটানা বৃষ্টির ফলে সিলেট নগরে অর্ধেকাংশ ডুবে গেছে। এতে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট জানিয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
অতিমাত্রায় বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যান চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ও বাসাবাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ ও সেবাপ্রত্যাশীরা।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। খোলা হয়েছে বিশেষ জরুরি কন্ট্রোল রুম। সিসিক সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন ভবনে (কক্ষ নম্বর ২০৫) কন্ট্রোল রুমটি স্থাপন করা হয়েছে।
সিসিকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে পরিস্থিতি সামাল দেবেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ এই ভারী বৃষ্টিতে নগরীর জিন্দাবাজার, ক্বিন ব্রিজ এলাকা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, উপশহর, লালদীঘিরপাড়সহ বিভিন্ন জায়গার কোথাও কোমর ও কোথাও হাঁটুপানি জমে গেছে। অনেক বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ পড়েছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও পুনর্বাসন কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বাড়া শুরু হয়েছে। বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইন ও সারি নদীসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সব পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি পানি বয়ে যাচ্ছে।
জেলার কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ মিটার। এই পয়েন্টে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানিপ্রবাহ ছিল ৮ দশমিক ২৯ মিটার। দুই দিনে বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৭ মিটার। বর্তমানে বিপদসীমার এক দশমিক ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি বইছে।
সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে সমানে পানি বাড়ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমার এক দশমিক ৪৯ মিটার নিচ দিয়ে পানি বইছে। গত দুই দিনে পানি বেড়েছে ২ দশমিক ০৮ মিটার। বর্তমানে ৯ দশমিক ৩১ মিটার সমতলে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ মিটার।
সীমান্তের পাহাড়ি নদীগুলোতেও দ্রুত পানি বাড়ছে। এর মধ্যে কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মিটার সমানে পানি বইছে। জৈন্তাপুরের সারি নদীর পানি ১১ দশমিক ৫২ মিটার সমানে বইছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি বইছে। জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর ডাউকি পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭০ মিটার সমতলে পানি বইছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১৩ মিটার। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন পয়েন্টে ১০ দশমিক ০৬ মিটার সমমানে পানি বইছে। এখানে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮২ মিটার এবং কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুরে ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৯ দশমিক ১৭ মিটারে পৌঁছেছে।
কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জে অমলসিদ পয়েন্টে বেলা ৩টায় পানির প্রবাহ পৌঁছায় ১২ দশমিক ৯৩ মিটারে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। শেওলা পয়েন্টে ১০ দশমিক ৪০ মিটার সমানে পানি বইছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ মিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বেলা ৩টায় পানিপ্রবাহ পৌঁছায় ৮ দশমিক ৩৪ মিটারে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ সজিব হোসাইন বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে ভারী বর্ষণ ও দমকা হওয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) : টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা বন্যাঝুঁকিতে রয়েছে। শনিবার ভোর থেকে টানাবৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা ঢলে বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এ ছাড়া মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা সাব স্টেশনে কোমরসমান পানি হওয়ায় প্রায় ৮০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বড়লেখা পৌর শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে গেল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কম হলেও মেঘালয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা ও চিলাই, ছাতক উপজেলার চেলা ও পিয়াইন, মধ্যনগর উপজেলার সোমেশ্বরী, তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা, মাহারাম, বৌলাই, রক্তি ও পাটলাই এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মরা যাদুকাটা নদীতে তীব্র বেগে নামছে পাহাড়ি ঢল।
মেঘালয়ে ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আরও ঢলের পানি নামার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০.০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জে ৭১ মিমি, ছাতকে ৬৭ মিমি, লাউড়েরগড়ে ৬৯.০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর উপজেলার নদী ও হাওরের পাশের গ্রামগুলো ঝড়ো হাওয়া ও ঢেউয়ের আঘাতের মুখে পড়েছে। হাওরগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হচ্ছে। পানির চাপে তাহিরপুরের দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বড়দল নতুন হাটি গ্রামের পাশের একটি বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে।
কুমিল্লা : ক্রমেই বাড়ছে গোমতী নদীর পানি। গত বছরের আগস্টে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয় দুই উপজেলায়। এদিকে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণে গোমতী নদীর পানি বাড়তে দেখে দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে আবারও বন্যার আগাম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গোমতী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বান্দরবানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বান্দরবান-সুয়ালক-লামা বাইপাস সড়কের টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় অন্তত তিনটি স্থানে বড় ধরনের ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (৩১ মে) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কটি এখন পুরোপুরি অচল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও এরপর আর কোনো সংস্কার হয়নি। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। তবে এবারের ক্ষতি অতীতের চেয়েও বেশি।
টংকাবতী ইউনিয়নের পুনর্বাসন ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দা হেবল ত্রিপুরা বলেন, ‘দুই বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি পাকা করলেও এখন এটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
একই কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা তঙ্গয়ে ম্রো ও ট্রাকচালক জসিম। তারা জানান, বৃষ্টি হলেই সড়কের মাটি ধসে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের দুপাশ ধসে পড়ায় গত শুক্রবার থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়াং ম্রো প্রদীপ বলেন, সড়কটি গত বছর থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, বারবার জানানো হলেও এলজিইডি ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বর্ষার শুরুতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, হেডম্যান পাড়ার তিনটি জায়গায় ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে দেখে বাজেট প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই জরুরি মেরামতের জন্য প্রধান কার্যালয়ে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হবে। স্থায়ী সমাধানের জন্য সড়কের দুই পাশে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণের প্রস্তাবও দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধসে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
খাগড়াছড়ির পৌর শহর ও আশপাশের এলাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। কলাবাগান, সবুজবাগ, শালবন ও কুমিল্লাটিলা এলাকাকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শালবন এলাকায় পাহাড়ধসে একাধিক ঘরে মাটি ঢুকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, রাত ১টার সময় পাহাড় ভেঙে আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। পরিবার নিয়ে সারা রাত জেগে আতঙ্কে ছিলাম।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সেখানে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিকে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মাইনী নদীতে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে শুক্রবার সকালে নিখোঁজ হন তড়িৎ চাকমা (৫৫)। বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা জানান, স্থানীয়রা নদীতে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেট (গোয়াইনঘাট) পর্যটনকেন্দ্র জাফলং প্লাবিত
ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে গত শুক্রবার সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। পানির তোড়ে পিয়াইন নদের পানি উপচে ভাসমান দোকানগুলো তলিয়ে গেছে। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী জানান, নদে পানি বাড়ছে, তবে এখনও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।