■ শরীয়তপুর প্রতিনিধি ■
শরীয়তপুরে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। জাজিরা থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজ শয়নকক্ষে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ লাইনস হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম। তিনি থানা ভবনের ভেতর থেকে বরে হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ওসি আল আমিনের মরদেহ এখনো জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
ওসি আল আমিনের মৃত্যুর খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাজিরা থানা ভবনে অবস্থান করছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তা ব্যতীত কাউকে থানার ভেতর প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।
সরেজমিন বিকেল ৪টার দিকে দেখা যায়, থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীসহ উৎসুক জনতা গেটের সামনে অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার যে কোনো সময়ে ওসি আল আমিন জাজিরা থানার নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ইন্সপেক্টর বাংলোর রুম পদ্মায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার সময় তার পায়ের সঙ্গে লাগোয়া চেয়ার ছিল। আল আমিন সর্বশেষ বেলা ১১টায় থানার পুলিশ সদস্য আজিজুল হকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। একটি কাগজ সই করার জন্য ওই পুলিশ সদস্য ওসিকে ফোন করেন। এসময় ওসি আল আমিন ফোনে জানান তিনি একটু দেরিতে বের হবেন।
এরপর ওসি নিজের রুমে আসতে দেরি করায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আ. ছালাম থানার দ্বিতীয় তলায় ওসির রুমে যান। রুমের দরজা খোলা থাকলেও তা হাল্কা ভেড়ানো ছিল। দরজায় ধাক্কা দিলে ওসির রুমের উত্তর পাশে জানালার গ্রিলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। থানার ডিউটি অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন।
থানা সূত্র বলছে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হবে। ওসি আল আমিনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদি এলাকায়। তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হন।