■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি, এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী, এসআইবিএল, আইসিবি ইসলামিক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ছয়টি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বৈঠকের পর তাদের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকের বোর্ড । তাকে আগামী তিন মাসের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। তিনি ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন। এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করবেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার ৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। সেখানে এসব ব্যাংকে অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে এস আলম ঘনিষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক গত শনিবার পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠক শেষে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ছয়টি ব্যাংকে আন্তর্জাতিক অডিটর নিয়োগ করা হচ্ছে। তারা যাতে স্বাধীনভাবে অডিট কার্য পরিচালনা করতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদেরকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক নিরীক্ষার সুবিধার্থে আরও পাঁচ ব্যাংকের এমডিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাদের এমডিদের সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকসহ এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকসহ ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোতে আগে যোগদান করা এমডিরা দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু ব্যাংকগুলোর সম্পদ নিরীক্ষার সুবির্ধাথে এমডিদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা সংস্থাগুলো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে। ব্যাংক সংস্কারের জন্য গঠিত ব্যাংকিং ট্রান্সফারের পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে বলে জানা গেছে।