মস্কোয় কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৪০

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত আটটার দিকে মস্কোর উত্তর প্রান্তে ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

হামলার সময় হলে ‘পিকনিক’ ব্যান্ডের পরিবেশনার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় সেখানে ৬ হাজার ২০০ মানুষ ছিলেন। সত্তরের দশকে নির্মিত ওই হলে ৯ হাজারের বেশি মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ১০০–এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে গেছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের বিশেষ ইউনিটের সদস্যদেরও সেখানে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে তাস জানিয়েছে, ক্রোকাস সিটি হলে আগুন নেভানোর কাজে একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। 

ঘটনার প্রকাশিত ছবিতে ভবনটিতে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা গেছে। এতে একটি শপিং মল ও কনসার্ট ভেন্যু রয়েছে।

রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

হামলার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। তার একটিতে হামলাকারীদের ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারীরা হলের ভেতরে গুলিবর্ষণ করছে। এ সময় প্রাণ রক্ষায় লোকজন নিচে শুয়ে পড়েন। ১৫-২০ মিনিটে এমন অবস্থায় থাকার পর হামাগুড়ি দিয়ে তাঁরা বের হওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে হল থেকে বের হতে সক্ষম হন।

বন্দুকধারীরা গুলিবর্ষণের পর গ্রেনেড বা বোমা ছুড়লে হলটিতে আগুন ধরে যায়। তখনো হলের ভেতরে অনেক মানুষ আটকা পড়েছিলেন বলে রুশ কর্মকর্তারা জানান। একপর্যায়ে আগুনে হলের ছাদ ধসে পড়ে। হামলার খবর জানার পর সেখানে ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় বলে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি গতকাল ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এখন পর্যন্ত এ হামলায় ইউক্রেন বা ইউক্রেনীয়দের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *