■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন অনলাইনে শুরু হবে ১২ নভেম্বর। আবেদন করা যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তিবিষয়ক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল লটারি শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে ভর্তি কার্যক্রম। যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত বছরের মতো এবারও সরকারি বিদ্যালয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। যেমন-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে, অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। এবারও ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে।
মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রথম থেকে নবম শ্রেণির আগামী বছরের ভর্তিসংক্রান্ত বিষয়াদি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগির ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন এত দিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত হলো মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে।
সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বর মাসে শুরু হয় ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ সাল থেকে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।