পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

■ পঞ্চগড় প্রতিনিধি ■

পঞ্চগড়ে শনিবার ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।

শনিবার সকাল ৯টায় রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন ধরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। কদিন ধরে রাতের শুরু থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা পড়েছে। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে সূর্য ওঠার পর থেকে কমতে থাকে শীত। সকাল থেকে ঝলমলে রোদ ছড়িয়ে পড়ে চারদিক।

শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। টানা পাঁচদিন ধরে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) ছিল ২৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঝলমলে রোদে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শীতের তেমন দুর্ভোগ নেই। তবে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় কনকনে শীত। এর ফলে সকাল সকাল কাজে যোগ দেওয়া দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থায়ীরা জানান বলেন, পৌষ মাস না পরতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে।

এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও  অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *