■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসির) পক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তাকে ম্যানিলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ফিলিপাইন সরকার জানিয়েছে, হংকং থেকে ফিরে আসার পর তাকে ম্যানিলার বিমানবন্দরে আটক করা হয়।
৭৯ বছর বয়সী রদ্রিগো দুতার্তে ২০২২ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ছেড়ে দেন এবং তিনি ফিলিপাইনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের একজন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এতোদিন আপেক্ষিক দায়মুক্তি ভোগ করেছেন।
অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাত্র কয়েকজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে।
দুতার্তের সাবেক মুখপাত্র সালভাদর প্যানেলো এই গ্রেফতারকে ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ফিলিপাইন এরই মধ্যে নিজেদের আইসিসি থেকে প্রত্যাহার করেছে নিয়েছে। তাই এই গ্রেফতার বৈধ নয়। তবে আইসিসি জানিয়েছে, দেশটি সদস্যপদ বাতিলের আগে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার বহাল আছে।
দুতার্তে হংকংয়ে গিয়েছিলেন আসন্ন ১২ মে মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য তাঁর পক্ষের সিনেট সদস্য প্রার্থীদের প্রচারণার উদ্দেশ্যে। স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসছেন এবং হাঁটার জন্য একটি লাঠির সাহায্য নিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন এবং সরকারি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।
ফিলিপাইনের অন্যতম বৃহৎ শহরের সাবেক এই মেয়র অপরাধ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তবে সমালোচকদের অভিযোগ, তাঁর মাদকবিরোধী অভিযান পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে এবং বহু মাদক সন্দেহভাজনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দুতার্তে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুতার্তে নিজেকে সাধারণ মানুষের পক্ষে শক্তিশালী ও বিদ্রোহী মনোভাবাপন্ন নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেন, যা তাঁকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয় এবং মিন্দানাও দ্বীপ থেকে নির্বাচিত ফিলিপাইনের প্রথম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম করে। তাঁর কন্যা সারা দুতার্তে বর্তমানে ফিলিপাইনের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে পালন করছেন।