:: সিলেট প্রতিনিধি ::
সিলেটের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১,১৮,৬১৪ ভোট। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫১,৩২১ ভোট।
বুধবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের রির্টানিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তার দাবি, সবই কমিশনের সাজানো নাটক।
নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, এগুলা যে করবে তা আগে থেকেই জানতাম। এগুলো সাজানো একটা নাটক। নির্বাচন কমিশনের সাজানো একটা নাটক এটা। আজকে এটা বাস্তবে রূপ নিলো। কারণ, লাঙ্গলের রেজাল্ট দেয়া হচ্ছে নৌকাকে আর, নৌকার রেজাল্ট দেয়া হচ্ছে লাঙ্গলকে। এটা তাদের পূর্বপরিকল্পিত নীল নকশার একটা বহিঃপ্রকাশ ঘটালো তারা। আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলাম।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সকাল থেকেই ইভিএমে ধীরগতির কথা জানান ভোটাররা। তবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান, নারী ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে বিলম্ব করেন। বয়স্কদের আরও বেশি সময় লাগছে। এদিকে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং এর মাধ্যমে সব কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সিলেট সিটিতে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হয়েছে। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে অন্য সাত প্রার্থী হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহজাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৮ সালেও সিলেট সিটি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।