:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের ৫ সদস্য নিহতের ঘটনায় ক্রেনচালক ও তার সহকারী এবং নিরাপত্তা জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের নিরাপত্তাকর্মীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার সময় নিহতরা প্রাইভেটকারে করে সদ্য বিয়ে হওয়া হৃদয় (২৫) ও রিয়া মনিকে (২১) নিয়ে যাচ্ছিলেন কনের বাবার বাড়ি। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটি’র প্রকল্পের গার্ডার পড়ে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারের ওপর। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হৃদয়ের বাবা রুবেল (৫০), রিয়ার মা ফাহিমা (৪০), খালা ঝর্ণা (২৮) ও ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। এছাড়া নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়াও দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন- সোমবার বিকেলে বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্মিত গার্ডার একটি ক্রেন দিয়ে সরানো হচ্ছিল। ওই সময় গার্ডারটি হঠাৎ করেই রাস্তায় চলমান প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে যায়। গার্ডারটি ক্রেন থেকে ছুটে যায়নি, বরং ক্রেনের একপাশ উল্টে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা- ক্রেনটির ধারণক্ষমতা কম ছিল কিংবা চালক ভুলভাবে সেটি অপারেট করেছেন।
এ ঘটনায় বুধবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। সেই সঙ্গে রুলে দুর্ঘটনা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিআরটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদনও আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।