:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
চলতি বছরও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। পরীক্ষা না হলেও গত দুই বছরের মতো ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়া হবে।
রোববার (২৯ মে) বিকেলে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তপন কুমার সরকার আরও বলেন, ১৯ জুন থেকে এসএসসি ও সমমান এবং ২২ আগস্ট থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব লিখিত পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলে যাবে। এরপর নভেম্বরে এসে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেয়া তো অনেক কষ্টকর হবে। তা ছাড়া নতুন কারিকুলামে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে এ দুই পরীক্ষার আয়োজন করতে গেলে শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য তা হবে অত্যন্ত কষ্টকর। তাই চলতি বছরও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নেয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে পরীক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের এ মতামত জানিয়েছি। তবুও যদি সরকার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
গত ১২ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো লজিস্টিক বিষয় দেখতে হবে। এ বছরের এসএসসি জুন মাসে এবং এইচএসসি আগস্ট মাসে হওয়ার কথা। এইচএসসি আগস্টে হলে আমাদের কাছে এখনো যা মনে হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হওয়াটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হবে।’
নতুন শিক্ষাক্রমেও জেএসসি পরীক্ষার কথা নেই, যা ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হবে। আবার গত দুই বছরও এ পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় এক বছরের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া কতটা জরুরি বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, সেই অর্থে খুব যে জরুরি, তা হয়তো নয়। তারপরও পরিস্থিতিটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাধারণত প্রতিবছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে গত দুই বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি। এর মধ্যে ২০২০ সালে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। গত বছর অবশ্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে কম বিষয়ে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছিল।