:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সমর্থন করে থাকে—এমন মন্তব্য করে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো একক দল ও প্রার্থীকে সমর্থন করে না।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত এক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত অন্য এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব গভীরতর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে সরকার বদলে জড়িত, এমন মন্তব্যের জন্য দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাইতে বলা হবে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক অগ্রাধিকারগুলোর ওপর প্রভাব পড়তে পারে, এমন বিষয়ে বন্ধুদেশ ও অংশীদারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় জোর দেওয়া হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রমের সমালোচনা করে ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক বিশদ প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোর মত ঢাকার দূতাবাসও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দেখভাল করে থাকে।’
এসময় জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরকরণ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করেন প্যাটেল।
এক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো দেশের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা যে, নির্বাচন যাতে অবাধে ও সুষ্ঠুভাবে হয় এবং আপনি যেমনটি বলেছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হোক, আমিও সেটাই যোগ করতে পারি।’
এর আগে গত ১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা যা চাই তা হলো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হোক। তবে এটি অভ্যন্তরীণ এবং ঘরোয়া নির্বাচন হওয়ায় এর বাইরে আমার আর বলার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ঢাকার দূতাবাস বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দূত হিসেবে কাজ করে, যা বিশ্বে আমাদের অন্য দূতাবাসগুলোও করে। আমি গতকালও বলেছিলাম, বাংলাদেশ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এ দেশটির সঙ্গে আমরা সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই। ২০২২ সালে আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি। এমন আরও অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে দুই দেশের সহযোগিতা আরও গভীর হতে পারে, যা শুধু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে নয়, দেশটির মানুষের সঙ্গেও।