:: ক্রীড়া প্রতিবেদন ::
শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড। এ হারে শীর্ষ আটে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার লঙ্কানদের জন্য আরও কঠিন হল।
কিউইদের জন্য জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৭২ রানের। ১৬০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিতল তারা। এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে নিউজিল্যান্ড। এতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে খেলা অনেকটা অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ল।
ব্যাঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। দলের ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। আরেক প্রান্তে ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার কুশল পেরেরা। বাকিদের উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু পেরেরা।
কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারবিক্রমা এবং চারিথ আসালাঙ্কা তিনজনই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি হাঁকান পেরেরা। তবে ফিফটির পরেই দলীয় ৭০ রানের মাথায় ২৮ বলে ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান পেরেরা।
ওপেনার পেরেরা আউট হওয়ার পর শেষ দিকে মাহিশ থিকশানা এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। ৯১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত টিকে ছিলেন তিনি। ৪৬.৪ ওভারের খেলা শেষে ১৭১ রানের মাথায় অলআউট হয়ে যায় শ্রীলংকা। দিলশান মাদুশাঙ্কাও যথেষ্ট ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ৪৮ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র এবং মিচেল স্যান্টনার নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট তোলেন টিম সাউদি।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র ৮৬ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ রানে কনওয়েকে আউট করে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম উইকেট এনে দেন দুষ্মন্ত চামিরা।
কনওয়ের দেখানো পথে দ্রুতই ফিরে যান রবীন্দ্রও। ৪২ রান করে তিনি আউট হন। ইনিংসটিতে ছিল ৩টি করে সমান চার ও ছক্কা। অল্প সময়ে জোড়া উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। দুজনের ৪২ রানের জুটিতে যখন কিউইরা সহজ জয় পেতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
ব্যক্তিগত ১৪ রানে উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে যান মার্ক চ্যাপমান। মিচেলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৭ রানে আউট হন তিনি। দলের জয় যখন ১০ রান দূরে ঠিক তখনই আউট হন মিচেলও। ৪৩ রানে ম্যাথুসের শিকার হন তিনি। তবে জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম। ফিলিপসের ১৭ রানের বিপরীতে ২ রানে অপরাজিত থাকেন লাথাম। ১৬০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের জয়ে লাভ হয়েছে বাংলাদেশেরও। শ্রীলঙ্কার পরাজয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে না হারলে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম দল হিসেবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। অবশ্য নেদারল্যান্ডসের হার কামনা করতে হবে বাংলাদেশকে।