একজন নির্মল সেন

:: তাহসিন আহমেদ ::
পরিচিত ছিলেন নির্মল সেন নামে। বিপ্লবী সূর্য সেনের সহযোগী, আপসহীন সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া বাম রাজনীতিবিদ। পুরো নাম নির্মল কুমার সেন গুপ্ত। বামপন্থি রাজনীতির সাথে জড়িতদের কাছে কমরেড; আর সাংবাদিক মহলে পরিচিতি নির্মল দা হিসেবে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালের ১৬ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে জাসদ-রক্ষীবাহিনীর মধ্যে সংঘাতপূর্ণ অবস্থানের কারণে দেশ যখন অস্থির সময় পার করছিল তখন দৈনিক বাংলা পত্রিকায় ‘অনিকেত’ ছদ্মনামে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ নামক একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখে তোলপাড় সৃষ্টি করেন।

নির্মল সেন ২০০৩ সালে ব্রেইনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসা পরবর্তী সময় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরগ্রামে নিজ বাড়ীতেই থাকতেন। এখানেই তিনি ২০০১২ সালে ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২৪ ডিসেম্বর তাকে ঢাকায় এনে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ফুসফুসে যে ইনফেকশন ছিল, তা রক্তের ভেতর দিয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় (সেপটিসেমিয়া) তাঁকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হচ্ছিলো। এই অবস্থায় তিনি ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখ সন্ধ্য ৬ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

নির্মল সেন যখন বঙ্গবন্ধুর মুখের ওপরে, বলে দিলেন তিনি বাকশালে যোগ দেবেন না, তখন শেখ মুজিবও সবাইকে পরামর্শ দিলেন নির্মল সেনকে যেন না ঘাঁটায়।

বঙ্গবন্ধৃর সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল নির্মল সেনের। পড়েছেন গোপালগঞ্জের স্কুলে। তাঁর কাকাদের শেখ মুজিব মামা বলে ডাকতেন। প্রাণখোলা প্রশংসা করেছেন তিনি মানুষ শেখ মুজিবের। তিনি লিখেছেন,”উল্লেখ করলে অন্যায় হবে না, এ একটি মানুষের আমলেই লিখে বা কথা বলে সাড়া পাওয়া যেত। পত্রিকায় প্রকাশিত আমাদের লেখা বা বক্তব্য মনে হয় তিনি খুটে খুটে পড়তেন। তাঁর অভিজ্ঞতা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে আমার প্রতিটি লেখা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছিলো। সে লেখার ভিত্তিতে নির্দেশ গিয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একথা ঠিক, তার আমলের শেষের দিকে তিনিই নির্দেশ দিয়ে আমার লেখা বন্ধ করেছিলেন তবুও তার আমলে লেখায় সুখ ছিলো। লিখলে ফল হতো”। কিন্তু সে ফল বিস্বাদ ঠেকতো কারো কারো কাছে। নির্মল সেনের কলাম বন্ধ করা হয়েছিল শেখ সাহেবের নির্দেশে। চুয়াত্তরে জরুরী অবস্থা জারীর পরপর তাঁর লেখা বন্ধের নির্দেশ এসেছিলো। ‘দৈনিক বাংলার সম্পাদক তখন নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী। তিনি তাঁকে ডেকে বললেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার লেখা বন্ধ করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন ‘অনিকেত’ ছদ্মনামে নির্মল সেনের উপসম্পাদকীয় আর দৈনিক বাংলায় ছাপা হবে না’। মাথা বিগড়ে গেল নির্মল সেনের। সরাসরি চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে গণভবনে। বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘আপনি আমার লেখা বন্ধ করলেন কেন। আর সে কথা আমাকে না জানিয়ে সম্পাদক সাহেবকে জানালেন কেন। তারাতো আপনার সামনে ভয়েই কথা বলে না। তাদের কাছে এই কথা বলে লাভ আছে। তবে আপনার কথা আমি মানবো না। আমি আজকেই এই গণভবন থেকে ফোনে দৈনিক বাংলায় আমার লেখা দেবো’। ‘প্রধানমন্ত্রী খানিকটা গম্ভীর হলেন, ইংরেজিতে বললেন – নির্মল সেন, আপনাকে আমি জেলে পুরবো না। আপনি জনপ্রিয় হবেন। আপনার জন্য একটি সিসার গুলিই Sufficient (সাফিশিয়েন্ট),উত্তরে নির্মল সেন বললেন, প্রধানমন্ত্রী, “একই কথা আপনার জন্যও প্রযোজ্য। আপনার জন্যও একটি সিসার গুলিই Sufficient (সাফিশিয়েন্ট)।” শেষ পর্যন্ত হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। নির্মল সেন সেদিন গণভবন থেকেই ফোনে দৈনিক বাংলার জন্য লেখা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। বাকশাল গঠনের পর নির্মল সেনের লেখা আবার বন্ধ করা হয়। এ নিয়েও বাকবিতন্ডা হয় প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবের সাথে নির্মল সেনের। বাকশালের সময় সরকারী নিয়ন্ত্রণে মাত্র চারটি দৈনিক রেখে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে সাংবাদিকদের নেতা নির্মল সেন গিয়েছিলেন শেখ মুজিবের কাছে। সেদিনও বাদানুবাদ হয় দুজনের মধ্যে প্রচন্ড। ‘you are going too far (ইউ আর গোয়িং টু ফার) নির্মল সেন!’ শেখ মুজিব ধমক দিয়েছিলেন। নির্মল সেন বলেছিলেন,‘ you are a liar (ইউ আর আ লায়্যার)’। ফেরার সময় শেখ সাহেব অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে নির্মল সেনকে বলেছিলেন, ‘নির্মল সেন, সত্যি সত্যি দেশটা গুন্ডার দেশ হয়ে গেছে। কিছু করতে পারলাম না। আপনি ঠিক বলেছেন, দেশটা হবে গুন্ডার দেশ’।

তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু বই-
• মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্র
• বার্লিন থেকে মস্কো
• পূর্ব বঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ
• মা জন্মভূমি
• লেনিন থেকে গর্বাচেভ
• আমার জবানবন্দী
• স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই
• আমার জীবনে ’৭১-এর যুদ্ধ

নির্মল সেন কেবল একজন পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন না, একজন নিবেদিত রাজনীতিবিদও ছিলেন, যার লক্ষ ছিল শোষণ-বিহীন ও সমতাভিত্তিক একটি সমাজ গঠন করা। কৈশোরে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৬৯- এর গণ অভ্যূত্থান, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৯০-এ সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সমেত গণ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সকল সংগ্রামে তিনি ছিলেন সক্রিয়। ১৯৪২ সালে নবম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় ‘কুইট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। রাজনৈতিক কারণে তিনি ১৬ বার কারাবরণ করেন। অর্থনীতিতে মাস্টার্স নির্মল সেন জীবনের বিভিন্ন সময়ে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক জেহাদ, দৈনিক পাকিস্তান / দৈনিক বাংলায় কাজ করেন। তিনি ছিলেন অকৃতদার। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম সভাপতি। প্রগতিশীল রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামেও তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রণী।

১৯৭২-৭৩ সালে নির্মল সেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ১৯৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতাও করেছেন।

বাম রাজনীতির পুরোধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগষ্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত। মাতার নাম লাবন্য প্রভা সেন গুপ্ত। বাবা সুরেন্দ্র্র্র্র্র্র্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের গণিত শিক্ষক। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন চতুর্থ। বাড়ির পাঠশালায় নির্মল সেনের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর কোটালীপাড়া উপজেলার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটিগাতি এমই স্কুলে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৪২ সালে নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময় মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে অংশ নিয়ে স্কুল গেটে ১৬ দিন ধর্মঘট করার মাধ্যমে নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি ১৯৪৪ সালে রেভ্যুলিউশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি (আরএসপি)-তে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হোন। দেশ বিভাগের সময়কালে নির্মল সেনের মা-বাবা এবং ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্য বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ত্যাগ করে কলকাতা চলে যান। কিন্তু মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসায় নির্মল সেন এ দেশে থেকে যান। বাবা-মা কলকাতায় চলে যাওয়ার পর তিনি চলে যান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি গ্রামে তার পিসির বাসায়। নির্মল সেন বড় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলার কলসকাঠি গ্রামে তার পিসির বাড়ীতে। সেখানে ১৯৪৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে প্রবেশিকা/ম্যাট্রিক (এসএসসি) পাস করেন । এরপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে আইএসসি পাস করে বিএসসি-তে ভর্তি হন। এসময় তিনি রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে সেখান থেকে বিএসসি পরীক্ষা দিলেও অকৃতকার্য হন। তবে, পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে জেলখানা থেকেই বিএ পরীক্ষায় অংশ নেন এবং কৃতকার্য হন। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। শৈশব থেকেই নির্মল সেনের লেখালেখিতে হাতেখড়ি হয়।

মৃত্যুর আগে এক সভায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি হত্যার বিচার দাবি করে ফের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়েছিলেন নির্মল সেন। তিনি বলেন-সাংবাদিকরা কোথাও নিরাপদ নয়। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে সাংবাদিক দম্পতিকে খুন করল। এর আগে নিজ বাসভবনে ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। একটি স্বাধীন দেশে এ অবস্থা চলতে পারেনা।

সাংবাদিক নির্মল সেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন-”আপনি ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এই সময়ের মধ্যে খুনিদের খুজে বের করা হবে। আমি আপনাকে বলছি। ৪৮ ঘণ্টা নয়,যদি পারেন ৪৮ দিনে অপরাধিদের খুজে বের করুন। যদি পারেন তাহলে আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাবো। যা পারবেন তা বলুন। যা পারবেন না অনুগ্রহ করে তা বলবেন না। আমি এখন আর আপনার কথায় বিশ্বাস রাখতে পারছিনা। আপনি আপনার পুলিশ বাহিনী দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের খুজে বের করুন। সাংবাদিকদের হত্যা বা গায়ে হাত দেওয়া একটি স্বাধীন দেশের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।”

তিনি আরও বলেছিলেন- ”এদেশে একজন সাংবাদিক হত্যারও বিচার হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার,সিরাজ উদ্দিন হোসেন,আবুল বাসার,আ ন ম গোলাম মোস্তফা সহ অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। দেশ স্বাধীনের ৪০ বছর পরেও এ সকল হত্যার বিচার হয়নি। দেশ স্বাধীনের পরে যশোরের শামচুর রহমান ক্যাবল,আবদুল গফ্ফার চৌধুরী,ফারুক হোসেন, খুলনার হুমায়ুন কবির বালু, মানিক সাহা, রশিদ খোকন, ফরিদপুরের গৌতম দাসসহ অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে।”

”আমি যতটুকু জানি এ সকল হত্যার বিচার হয়নি। আমি এ সকল হত্যার বিচার দাবি করছি। ১৯৭৩ সালে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়ে আমি কাগজে লিখেছিলাম। প্রায় ৪০ বছর পরে হলেও দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে এই দাবিটি আবার উত্থাপিত হয়েছে। তবে আলাদা আলাদা ভাবে এ দাবি উত্থাপন করলে হবে না। দেশের সকল কলম সৈনিককে এক সঙ্গে সমসরে বলতে হবে“আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই”।

নির্মল সেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জীবনের শেষ ৪ ইচ্ছার কথা জানান। এর মধ্যে রয়েছে-
• নিজ বাড়িতে নারীদের জন্য একটি কলেজ নির্মাণ,
• মৃত্যুর পর তার দেহ কোনো মেডিকেল কলেজে দান করা,
• সাংবাদিকতা পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি কোনো পুরস্কার দেয়া হয়, তা গ্রহণ না করা এবং
• মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী মৃত্যুর সময় তাকে যে কথাগুলো বলে গিয়েছিলেন- তা বাম রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা।

এই ৪ ইচ্ছা তিনি লিখে রেখে গেছেন।

একজন মানুষ কতটা সৎ হলে এমনভাবে দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করেন, তা ভাবতে হলে অবশ্যই আমাদের গবেষণা করতে হবে তার বর্ণাঢ্য জীবন। নিজেকে নিয়ে নয়, দেশ নিয়ে ও মানুষ নিয়ে ভেবেছেন প্রতিটি মুহূর্তে। এমন নেতা, এমন সাংবাদিক এখন পাওয়াই অসম্ভব। তিনি রাজনীতি ও সাংবাদিকতা উভয় দিকেই নির্ভীক থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। অন্যায়-অবিচারে অনেকেই নিশ্চুপ থাকলেও তিনি একাই রাজপথে নেমে তার প্রতিবাদ করেছেন। তাকে অনুসরণ করে শেখা যায়, কীভাবে নীতি মেনে রাজনীতি করতে হয়। তিনি জীবনে কিছুই পাননি, শুধুই অকাতরে দিয়ে গেছেন। তার স্মৃতি রক্ষা করে তাকে সবার মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *