:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
২০০৩ সালের পর ২০২৩ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বাজে খেলার জন্য আলোচিত হয়ে থাকল। বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু করে হার দিয়ে শেষ করল বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৪ ওভার ৩ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া।
তবে ৮ উইকেটের হারের পরও বাংলাদেশের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা থাকছে। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস হারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করবে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া ৩০৭ রান তাড়া করতে নেমে মিচেল মার্শের অপরাজিত ১৭৭ রান আর ডেভিড ওয়ার্নারের ৫৩ ও স্টিভেন স্মিথের অপরাজিত ৬৪ রানের কারণে বড় লক্ষ্য মামুলি হয়ে যায়। ৩২ বল হাতে রেখেই জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় ওভারেই ট্রাভিস হেডকে ১০ রানে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অজিদের হাতে। দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ার্নার-মার্শ ১১৬ বলে ১২০ রানের জুটি গড়ে তোলেন।
২৩তম ওভারে ওয়ার্নারকে ৫৩ রানে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর আর উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। তৃতীয় উইকেটে স্মিথকে নিয়ে ১৩৫ বলে ১৭৫ রানে অসাধারণ আরেকটি জুড়ে গড়েন মার্শ। এই জুটিতেই ৪৪.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩২ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শ। যেখানে ছিল ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কার মার। ৬৩ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় বিশ্বকাপের প্রথম ফিফটি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম ছোটখাটো দুটি ইনিংস এবং শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ভালো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মাত্র ২৩ রান।
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পায় তারা। দুই ওপেনার-লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের সৌজন্যে পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান জমা হয় বাংলাদেশের স্কোরে।
১২তম ওভারে তানজিদ তামিমকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার শন অ্যাবট। ৭৬ রানে ভাঙে লিটন ও তামিমের ওপেনিং জুটি। ৩৪ বলে ৩৬ রান করেছেন তামিম। মেরেছেন ৬টি চারের বাউন্ডারি।
দলের ১০৬ রানে আরেক ওপেনার লিটন ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও তাওহীদ হৃদয় সেই চাপ সামলে শক্ত একটা ভিতই দাঁড় করাচ্ছিলেন। কিন্তু শান্ত রানআউটের শিকার হলে ৬৩ রানে ভাঙে এই জুটি।
শান্ত ৫৭ বলে খেলেছেন ৪৫ রানের এক ইনিংস খেলে মারনাস লাবুশেনের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হন।
চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয়ের জুটিও রানআউটে শেষ হয়। জশ হ্যাজলউডের বলে কাভারের দিকে খেলেই রান নিতে ছুটেছিলেন হৃদয়। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। ছুটে এসে বল ধরেছেন, এরপর ডাইভ দিয়ে থ্রো করে লাবুশেন স্টাম্প ভেঙেছেন সরাসরি। ২৮ বলে ৩২ রান করে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর মুশফিক ফিরেছেন ২১ রানে। হৃদয় ৭৯ বলে করেছেন ৭৪ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কার বাউন্ডারি। শেষ দিকে মিরাজ খেলেছেন ২০ বলে ২৯ রানের এক ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাবোট ও অ্যাডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।