মুন্সীগঞ্জে টি কে গ্রুপের বোর্ড তৈরির কারখানায় আগুন

:: মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ::

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টি কে গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড কারখানায় ভয়াবহ আগুন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রোববার (২৪) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করলে ৭ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। তারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টা ১১মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটির মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম নাগরিক নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার আব্দুর রহিম নাগরিক নিউজকে বলেন, গজারিয়ার অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, টি কে গ্রুপের এসএফএলএল ফ্যাক্টরির গোডাউনে পাটখড়ি, ফিনিস বোর্ড, প্লাইউড, প্লাস্টিকের দরজা ইত্যাদি রয়েছে।

গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান নাগরিক নিউজকে বলেন, এখনো আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন এখনো জ্বলছে।

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে কারখানাতে আগুন লাগার খবর পাই আমারা। প্রাথমে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে নারায়নগঞ্জের আদমজী ও কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে  ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে আমাদের গজারিয়া স্টেশনের দুটি ইউনিট এসে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও দশ ইউনিট যোগ দেয়। বিকাল ৪টার দিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ফোম টেন্ডার এবং রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট নিয়ে আসি।’

এ ব্যাপারে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, ‘কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। একাধিকবার সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।’

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। দুপুর আড়াইটা থেকে আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে কারখানার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *