ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায় বাতিল

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে লেবার অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে রায়টিকে অবৈধ বলেও ঘোষণা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে এই রায় দিয়েছে।

এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে গত ৩ এপ্রিল রায় দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। তার আবেদনে ৩০ মে হাইকোর্ট শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে।

আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান ও গোলাম মোহাম্মদ শরীফ।

রায়ের পর আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শ্রম আইনের ২৩১ ধারা অনুসারে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি হলে এবং সে চুক্তি নিয়ে কোনো বিরোধ সৃষ্টি হলে তা নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের সঙ্গে গ্রামীণ কল্যাণের কোনো চুক্তি না থাকায় কোনো বিরোধও ছিল না। ফলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়টি এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করে তা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তবে উচ্চ আদালত রায়ে বলে দিয়েছেন, এই শ্রমিকরা চাইলে শ্রম আইনের ১৩২ ধারা অনুসারে প্রতিকার চেয়ে শ্রম আদালতে যেতে পারবেন।

তবে শ্রমিকদের পক্ষের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *