:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
মিচেল স্যান্টনারের অলরাউন্ড নৌপুণ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ দিকে ১৭ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পর ৫ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক মিচেল স্যান্টনার।
হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউইদের। দলের ৬৭ রান থাকাবস্থায় ব্যক্তিগত ৩২ রানে ফেরেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে। সেঞ্চুরি দিয়ে অভিষেক রাঙানো রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে এরপর ৭৭ রানের জুটি গড়েন উইল ইয়ং। ২৭তম ওভারে পল ফন মিকেরেনকে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফেরেন ৮০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ার পথে নিজের ফিফটি তুলে নেন রাচিন। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। কেন উইলিয়ামসনের অবর্তমানে নেতৃত্বের ভার সামলানো টম ল্যাথাম এরপর মিচেলের সঙ্গে আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েন। ফিফটি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে ফন মিকেরেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মিচেল। এরপর দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও ল্যাথাম আর স্যান্টনারের ব্যাটিং ঝড়ে তা আর হয়ে ওঠেনি। ফিফটি তুলে নেন ল্যাথাম। ৪৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫৩ রান করেন। ল্যাথাম ফিরে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকেন স্যান্টনার। তার অপরাজিত ১৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩২২ রানে।
ডাচদের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আরিয়ান দত্ত, ফন ডার মারওয়ে এবং পল ফন মিকেরেন।
৩২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিউই বোলারদের তোপের মুখে পড়েন ডাচ ব্যাটাররা। উইকেট খোয়াতে থাকেন নিয়মিত বিরতিতে। একে একে ফিরে যান বিক্রমজিত সিং, ম্যাক্স ও’ডাউড ও বাস ডি লিডি। ডাচদের সংগ্রহ তখন মাত্র ৬৭ রান। একপাশ আগলে ধরে রেখেছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান। চতুর্থ উইকেটে তেজা নিদামানুরুকে নিয়ে গড়েন ৫০ রানের জুটি।
এ দুজনের ব্যাটে স্বপ্ন বুনতে শুরু করে ডাচ ভক্তরা। রান আউটে ফিরে যান নিদামানুরু। ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর অধিনায়ক এডওয়ার্ডসকে নিয়ে আরেকটি ৪০ রানের জুটি গড়েন অ্যাকারম্যান। তার দায়িত্বশীল ইনিংসের সমাপ্তি টানেন স্যান্টনার। ৫ চারে ৭৩ বলে ৬৯ রান করেন অ্যাকারম্যান। তবে দায়িত্ব নিতে পারেননি এডওয়ার্ডস। ২৭ বলে ৩০ রান করে তিনিও স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ওয়ানডে অভিষেককে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। কিন্তু পারেননি। তার ইনিংসটি থামে ৩৪ বলে ২৯ রানে। ডাচদের স্পিন দুর্বলতার সুযোগটি সর্বোচ্চ কাজে লাগান স্যান্টনার।
বল হাতে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন ম্যাচসেরা কিউই স্পিনার। এ ছাড়া পেসার ম্যাট হেনরি নেন ৩ উইকেট। তাতেই ডাচরা গুটিয়ে যায় ২২৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২২/৭ ইয়াং ৭০, রবীন্দ্র ৫১, মিচেল ৪৮, ল্যাথাম ৫৩, স্যান্টনার ৩৬*, হেনরি ১০; আরিয়ান ২/৬২, ফন মিকেরেন ২/৫৯, ফন ডার মারওয়ে ২/৫৬, ডি লিডি ১/৬৪, বিক্রমজিত ০/৯)
নেদারল্যান্ডস: ৪৬.৩ ওভারে ২২৩ (অ্যাকারম্যান ৬৯, এডওয়ার্ডস ৩০, এঙ্গেলব্রেখট ২৯; হেনরি ৩/৪০, স্যান্টনার ৫/৫৯, রবীন্দ্র ১/৪৬)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৯৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল স্যান্টনার