বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করল সৌদি আরব

:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব। প্রথম দেশ হিসেবে এ সুবিধা পাবার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে যেতে আর বাংলাদেশিদের স্টিকার ভিসা লাগবে না।

আজ সোমবার ঢাকার সৌদি দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ই-ভিসার উদ্বোধন করা হয়।

ভিসা স্টিকার খরচসাপেক্ষ এবং এখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, ‘এখন থেকে একটি এ-ফোর সাইজের পেপারে ভিসা প্রিন্ট দেয়া হবে এবং এর নিচে একটি বারকোড থাকবে। তাতে সব তথ্য জমা থাকবে। নতুন ব্যবস্থার কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা, মেডিক্যাল সেন্টারসহ সবাই উপকৃত হবেন।’

তিনি বলেন, ‘ভিসা স্টিকারে শুধু আরবি ভাষায় তথ্য লেখা থাকত। কিন্তু ই-ভিসা পদ্ধতিতে আরবি ও ইংরেজিতে তথ্যগুলো থাকার কারণে বাংলাদেশিরা সহজেই বুঝতে পারবেন যে কতদিনের ভিসা বা কী ধরনের ভিসা।’

দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা ও কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ে উল্লেখ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শ্রমিকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এসব দালাল টাকা নেয়। কিন্তু এর জন্য শ্রমিক বা চাকরিদাতা কেউই দোষী নয়। দোষী ওই দালালরা।’

তিনি বলেন, ‘আমি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন শ্রমিকদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে। শ্রমিকরা যাওয়ার আগে যেন জানতে পারে যে তাদের বেতন কত এবং কোথায় কিভাবে কাজ করবেন।

‘অনেক সময় শ্রমিকদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়। তাদেরকে বলা হয় যে, সৌদি দূতাবাস টাকা খায়। কিন্তু আমি বলতে চাই, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

রাষ্ট্রদূত জানান, সৌদি আরবে এখন কোনো ফ্রি ভিসা নেই। শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য ভিসা দেয়া হয়। আর শ্রমিক ভিসার মেয়াদ দুই বছর।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আগে বাংলাদেশিদের ওমরাহর জন্য ই-ভিসা চালু ছিল। তবে এখন থেকে সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে ই-ভিসা নেওয়া যাবে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, ভিসা ইংরেজি বা বাংলা ভাষা থাকলে সুবিধা হয়। কারণ বাংলাদেশি যেসব কর্মী দেশটিতে যান তারা আরবি ভাষা পড়তে পারেন না। পরবর্তীতে সৌদি আরব ই-ভিসায় ইংরেজি বা বাংলা ভাষা সংযোজন করবে বলে আমরা আশা করছি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সৌদিতে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *