:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গভীর রাতে পুলিশ বাসার দরজা ভেঙে আটক করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, রাত দেড়টায় পুলিশ তার বাসার চারপাশে অবস্থান নেয়। রাত সোয়া দুইটার দিকে এ্যানির বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার বাসার দরজা ভেঙে তাকে আটক করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক হওয়ার আগে এ্যানি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ দরজায় লাথি মারছে। হুমকি দিচ্ছে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। আমি সব মামলায় জামিনে আছি বর্তমানে, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করছে।’
এরপর রাতেই ধানমন্ডি থানায় যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও জহির উদ্দিন স্বপন। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব মামলায় জামিনে আছেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। তাকে কেন আটক করা হয়েছে, এটা স্পষ্ট না।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৫ মে ধানমন্ডি থানায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘রাজনৈতিক’ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে লক্ষ্মীপুরে ২টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিল। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, চারদিক থেকে সরকারপতনের আওয়াজ ওঠায় তারা বেসামাল হয়ে আবারও গ্রেফতার, নির্যাতন ও ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সাজা দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এসব করে তাদের শেষ রক্ষা হবে না।
রিজভী বলেন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সব মামলায় জামিনে থাকার পরও তাঁকে বাসা থেকে ডাকাতদের মতো তুলে নিয়ে আসা মানে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, কিন্তু জনগণ আর নিপীড়নকে ভয় পায় না। বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসী বিশ্বাস করে তারা আর জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সুতরাং যতই গ্রেফতার-নির্যাতন হোক না কেন, পতন ঠেকানো যাবে না। রিজভী আহমেদ অবিলম্বে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির মুক্তি দাবি করেন।