:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা কম হলেও ঝাঁকুনির অনুভূতি ছিল বেশি।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানাচ্ছে, এটির উৎপত্তিস্থল সিলেটের কানাইঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছাকাছি উত্তর নিজবারদেশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ভূমিকম্পের মূল যে জায়গা ধরা হয় সেটি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল যা সিলেটের অন্তর্গত। এই অঞ্চল টেকটোনিক প্লেটের কাছাকাছি। এ ছাড়া আসাম, শিলংয়ে প্লেট আছে। এসব জায়গায় ভূমিকম্প হলে সেটির প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। তবে এমন ছোট ছোট ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতায় হঠাৎ বড় ভূমিকম্প হবে কি না সেটি নিয়ে আগে থেকেই কিছু বলা যাবে না।
ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার ও ভূটানে অনুভূত হয়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিলেটের ফল্ট লাইনে দিনের বেলা ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হলে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫ ভবন ধসে পড়তে পারে। ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা সমমূল্যের।
এর আগে গত ১৫ জুন সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫। যার স্থায়িত্ব ছিল ১৫ সেকেন্ড এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।