প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিটাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১১৫ রান করে আফগানরা। জবাবে ১০৫ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

১১৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে বদলে যায় চিত্রপট। ফজলহক ফারুকির শিকার হন তানজিদ হাসান তামিম। এ নিয়ে তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। এটি সর্বশেষ ৪ ইনিংসে তার তৃতীয় শূন্য।

বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ শূন্য রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে এই রেকর্ড ছিল উগান্ডার রজার মুকাসার। চলতি বিশ্বকাপে তিনি তিনবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।

পরের ওভারে জাড়া আঘাত হানেন নাভিন। মিড উইকেট ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের বলে ফিরতি ক্যাচে সাকিব আর হাসানকে আউট করেন নাভিন।

একাদশে ফেরা সৌম্য ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল খেলে করেছেন ১০ রান। তাওহিদ হৃদয় উইকেটে এসে শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রশিদের শিকার হওয়ার আগে ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।

মাহমুদউল্লাহ যখন উইকেটে আসেন তখনও বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ বাস্তব ছিল। ১৯ বলে যখন ৪৩ রান দরকার তখন দশম ওভারে ৫ বল ডট খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এতেই সেমির স্বপ্ন ম্লান হয় টাইগারদের। পরের ওভারে রশিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৯ বল খেলে ৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। পরের বলেই রিশাদ হোসেনকেও ফেরান রশিদ।

বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলে একের পর এক উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় টাইগাররা। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সৌম্য সরকারকে বোল্ড করেন (১০) রশিদ খান।

৯ বলে ১৪ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে থামান আফগান অধিনায়ক। রশিদের তৃতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৯ বলে ৬ রান করে থামেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রথম বলেই বোল্ড রিশাদ হোসেন।

আসরের শেষ ম্যাচে এসে লিটন শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এর আগে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান ইব্রাহিম জার্দান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। তার বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু সেই ক্যাচ লুখে নিতে পারেননি হৃদয়। পাওয়ার প্লেতে আফগানদের সংগ্রহ ছিলো বিনা উইকেট মাত্র ২৭ রান।

২০ ওভারে সর্বমোট ৬৬টি ডট বল করেছেন তাসকিন-সাকিবরা। অর্থাৎ ১১ ওভার কোনো রান তুলতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।

১১তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইব্রাহিমকে (১৮) ফিরিয়ে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০) এবং গুরবাজকে (৪৩) সাজঘরে ফেরান এই লেগ স্পিনার। ২৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান : ২০ ওভারে ১১৫/৫ (রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪৩, রশিদ খান ১৯*, ইব্রাহিম জাদরান ১৮; রিশাদ হোসেন ৩/২৬, তাসকিন আহমেদ ১/১২, মুস্তাফিজুর রহমান ১/১৭)। 

বাংলাদেশ :  ১৭.৫ ওভারে ১০৫/১০ (লিটন দাস ৫০*, তাওহিদ হৃদয় ১৪, সৌম্য সরকার ১০; রশিদ খান ৪/২৩, নাভিন উল হক ৪/২৬, গুলবাদিন নায়েব ১/২)। 

ফল : বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা : রশিদ খান।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *