:: ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
প্রথম বাংলাদেশি ও বিশ্বের ১৪তম বোলার হিসেবে সাকিব আল হাসান ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব।
২৯৬ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। স্পিন ভেল্কিতে একে একে তিনি ফেরান ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, জেসন রয়, জেমস ভিন্স ও রেহান আহমেদকে। ম্যাচে ৫০ রানের জয়ও পায় বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা ব্যাট হাতে ৭৫ রান ও চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সাকিবই।
২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। ওই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন। তার বলে বোল্ড হয়ে হয়েছিলেন এলটন চিগুম্বুরা। ২০১০ সালে সাকিব নেন শততম উইকেট।
২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাকিবের ২০০তম শিকার ছিলেন হাশিম আমলা। এবার ৩০০তম শিকার অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামা ইংল্যান্ডের রেহান আহমেদ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড সাকিব নিজের করে নেন ২০২১ সালে।
এই সংস্করণে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার সাকিব। শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা সনাথ জয়সুরিয়া ৪৪৫ ম্যাচে পেয়েছেন ৩২৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি ৩০৫ উইকেট নিয়েছেন ২৯৫ ম্যাচে। সাকিব ৩০০ উইকেট নিলেন ২২৭ ম্যাচে।
২০০৬ সালের ৬ আগস্ট। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের। সেই ম্যাচে এল্টন চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম উইকেটটি পেয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ অলরাউন্ডার। ১৬ বছর ৭ মাস পর আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেই সাকিব পেয়ে গেলেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৩০০তম উইকেটের দেখা।
ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত খেলোয়াড় রেহান আহমেদকে আউট করেই বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের ১৪তম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন সাকিব। আজ আরও রেকর্ড ভেঙেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ পেলেন সাকিব। তবে এই ডাবলে সাকিবই দ্রুততম। জয়াসুরিয়া ৩৯৭ ও আফ্রিদি ৩১৪ ম্যাচে ছুঁয়েছেন এই ‘ডাবল’। সাকিব পেলেন ২২৭ ম্যাচেই।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থবার এক ম্যাচে ফিফটি ও ৪ উইকেট পেলেন সাকিব। এই রেকর্ডে এখন সাকিবই সবার ওপরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার এই কীর্তি আছে ক্রিস গেইল ও শহীদ আফ্রিদির।
ওয়ানডেতে সাকিব সবচেয়ে বেশি ৮২টি উইকেটে পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সবচেয়ে বেশি ১৩১টি উইকেটে পেয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।